ক্রিয়ার কাল ও ভাব

একাদশ- দ্বাদশ শ্রেণি - বাংলা বাংলা ২য় পত্র | - | NCTB BOOK
829
829
common.please_contribute_to_add_content_into ক্রিয়ার কাল ও ভাব.
common.content

ক্রিয়ার কাল

900
900

কাল : ক্রিয়া সংঘটনের সময়কে কাল বলে।

১. আমরা বই পড়ি। ‘পড়া’ ক্রিয়াটি এখন অর্থাৎ বর্তমানে সংঘটিত হচ্ছে।

২. কাল তুমি শহরে গিয়েছিলে। ‘যাওয়া’ ক্রিয়াটি পূর্বে অর্থাৎ অতীতে সম্পন্ন হয়েছে।

৩. আগামীকাল স্কুল বন্ধ থাকবে। ‘বন্ধ থাকা' কাজটি পরে বা ভবিষ্যতে সম্পন্ন হবে। সুতরাং, ক্রিয়া, বর্তমান, অতীত বা ভবিষ্যতে সম্পন্ন হওয়ার সময় নির্দেশই ক্রিয়ার কাল। এ হিসেবে ক্রিয়ার কাল প্রধানত তিন প্রকার : ১. বর্তমান কাল, ২. অতীত কাল এবং ৩. ভবিষ্যৎ কাল।

common.content_added_by

# বহুনির্বাচনী প্রশ্ন

সাধারণ অতীত
পুরাঘটিত অতীত
ঘটমান বর্তমান
পুরাঘটিত বর্তমান
ঘটমান বর্তমান
বর্তমান অনুজ্ঞা
সাধারণ বর্তমান
ঘটমান বর্তমান
মিশ্র ক্রিয়া
যৌগিক ক্রিয়া
সমাপিকা ক্রিয়া
প্রযোজক ক্রিয়া

বর্তমান কাল

416
416

বর্তমান কাল  :-

যে ক্রিয়া এখন সম্পন্ন হয় বা হচ্ছে বুঝায়, তাকে বর্তমান কাল বলে। যেমন:

আমি পড়ি।

সে যায়।

কাকলি দৌড়ায়।

common.content_added_by

সাধারণ বর্তমান বা নিত্যবৃত্ত বর্তমান কাল

491
491

নিত্য বা সাধারণ বর্তমান :-

সাধারণভাবে যে ক্রিয়া বর্তমানে ঘটে, বা নিত্যই ঘটে, তাকে বলা হয় নিত্য-বর্তমান।

এই কাল বুঝাতে ধাতুর সঙ্গে ই, অ, এন, ইস্, এ ক্রিয়া-বিভক্তি যুক্ত হয়। যেমন :

সে হাসে। আমি পড়ি। সূর্য ওঠে। মানুষ মরে। বাতাস বয়।

 

common.content_added_by

ঘটমান বর্তমান কাল

500
500

ঘটমান বর্তমান :-

বর্তমানে যে ক্রিয়ার কাজ আরম্ভ হয়েও শেষ হয়নি, অর্থাৎ যে-ক্রিয়ার কাজ এখনও চলছে, তাকে বলা হয় ঘটমান বর্তমান।

এই কাল বুঝাতে ধাতুর শেষে ইতেছে’ (ছে), ইতেছ (ছ), ইতেছি (ছি) প্রভৃতি ক্রিয়া-বিভক্তি বসে। সাধুভাষায় ইতেছে, ইতেছ, ইতেছি এবং চলিতভাষায় ছে, ছ, ছি প্রভৃতি ক্রিয়া-বিভক্তি বসে। যদিও বর্তমানে চলিতভাষা প্রাধান্য পেয়েছে, তবুও সাধুভাষায় ক্রিয়া-বিভক্তির রূপগুলি জানা প্রয়োজন।

 

বন্ধনীর মধ্যে চলিতভাষার ক্রিয়ারুপ দেখানো হয়েছে। যেমন :

সে হাসিতেছে (হাসছে)‌।

তুমি কাঁদিতেছ, (কাঁদছ)।

আমি পড়িতেছি (পড়ছি)।

সূর্য উঠিতেছে (উঠছে) ইত্যাদি।

common.content_added_by

পুরাঘটিত বর্তমান কাল

471
471

পুরাঘটিত বর্তমান :-

কিছুক্ষণ পূর্বে যে ক্রিয়া সংঘটিত হয়েছে, অথচ যার ফল এখনও বর্তমান, তার কালকে বলা হয় পুরাঘটিত বর্তমান।

এই কাল বুঝাতে ধাতুর শেষে ইয়াছে (এছে), ইয়াছ (আছ), ইয়াছি (এছি) প্রভৃতি ক্রিয়া-বিভক্তি যুক্ত হয়।

যেমন : 

সে হাসিয়াছে (হেসেছে)।

তুমি কাঁদিয়াছ (কেঁদেছ)‌।

আমি পড়িয়াছি (পড়েছি) ইত্যাদি।

common.content_added_by

অতীত কাল

427
427

ক্রিয়া আগেই সম্পন্ন হয়েছে, তার কালকে অতীত কাল বলে। যেমন:

আমি তাকে দেখেছিলাম।

গতকাল ঢাকা গিয়েছিলাম।

মা রান্না করছিলেন।

অতীত কালের প্রকারভেদ :-

অতীত কালকে চারভাগে ভাগ করা যায়।

যেমন -

১.নিত্য-অতীত;

২. ঘটমান অতীত;

৩. পুরাঘটিত অতীত এবং

৪. নিত্যবৃত্ত-অতীত।

common.content_added_by

সাধারণ অতীত কাল

414
414

নিত্য বা সাধারণ অতীত :-

সাধারণভাবে যে-ক্রিয়ার কাজ পূর্বে অর্থাৎ, অতীতে সম্পূর্ণ হয়েছে তার কালকে বলা হয় নিত্য-অতীত। এতে নির্দিষ্ট কোনো সময়ের উল্লেখ থাকে না। তবে বাক্য থেকে বুঝা যায় যে, এই শ্রেণির কাজ খুব বেশি পূর্বে নিষ্পন্ন হয়নি।

এই কাল বুঝাতে ধাতুর শেষে-ইলাম (লাম), ইলে (লে), ল প্রভৃতি ক্রিয়া-বিভক্তি যুক্ত হয়। যেমন :

হেনা গান গাহিল (গাইল)। 

আমি একটি গল্প লিখিলাম (লিখলাম)। 

বাবা বাজার হইতে (থেকে) আসিলেন (এলেন)।

common.content_added_by

নিত্যবৃত্ত অতীত কাল

842
842

নিত্যবৃত্ত অতীত :

পূর্বে যে ক্রিয়ার কাজ কিছুকাল ধরে চলত বা নিয়মিত ভাবে যে ক্রিয়া অনুষ্ঠিত হত, তার কালকে বলা হয় নিত্যবৃত্ত অতীত।

এই কাল বুঝাতে ধাতুর শেষে-ইত (-ত), ইতাম (-তাম), ইতে (-তে) ইত্যাদি ক্রিয়া-বিভক্তি যুক্ত হয়। যেমনঃ

প্রত্যহ সকালে হেনা সঙ্গীতচর্চা করিত (রোজ সকালে হেনা গানের রেওয়াজ করত)। 

আমি যখন ঘুম হইতে উঠিতাম (আমি যখন ঘুম থেকে উঠতাম)। 

বাবা তখন প্রাতর্জ সারিয়া বাড়িতে ফিরিতেন।

common.content_added_and_updated_by

ঘটমান অতীত কাল

441
441

ঘটমান অতীত কাকে বলে :-

পূর্বে যে-ক্রিয়ার কাজ হচ্ছিল এবং তখনও যা সম্পূর্ণ হয়নি, তার কালকে বলা হয় ঘটমান অতীত।

এই কাল বুঝাতে ধাতুর শেষে- ইতেছিলাম (ছিলাম), -ইতেছিলে (ছিলে). ইতেছিল (ছিল) ইত্যাদি ক্রিয়া-বিভক্তি যুক্ত হয়। যেমন :

হেনা গান গাহিতেছিল (গাইছিল, গাচ্ছিল)। 

আমি একটি গল্প লিখিতেছিলাম (লিখছিলাম)। 

বাবা বাজার হইতে (থেকে) আসিতেছিলেন (আসছিলেন)।

common.content_added_by

পুরাঘটিত অতীত কাল

495
495

পুরাঘটিত-অতীত :

অনেক পূর্বেই যে ক্রিয়ার কাজ ঘটেছিল, তাকে বলা হয় পুরাঘটিত-অতীত।

এই ঝাল বুঝাতে ধাতুর শেষে ইয়াছিল (এছিল), ইয়াছিলাম (এছিলাম), ইয়াছিলে (-এছিলে) ইত্যাদি ক্রিয়া-বিভক্তি যুক্ত হয়। যেমন :

হেনা গান গাহিয়াছিল (গেয়েছিল)। 

আমি একটি গল্প লিখিয়াছিলাম (লিখেছিলাম)। 

তখন বাবা বাজার থেকে আসিয়াছিলেন (এসেছিলেন)।

common.content_added_by

ভবিষ্যৎ কাল

423
423

ভবিষ্যৎ কাল কাকে বলে :-

যে ক্রিয়া আগামীতে বা ভবিষ্যতে সম্পন্ন হবে এমন বোঝায়, তার কালকে ভবিষ্যৎ কাল বলে। যেমন:

বৃষ্টি আসবে।

সীমা কাল গান গাইবে।

পার্থ নাচবে।

common.content_added_by

সাধারণ ভবিষ্যৎ কাল

402
402

সাধারণ ভবিষ্যৎ :-

পরে অর্থাৎ ভবিষ্যতে যে ক্রিয়ার কাজ অনুষ্ঠিত হবে, তার কালকে বলা হয় সাধারণ ভবিষ্যৎ।

এই কাল বুঝাতে ধাতুর শেষে হবে -ইব (-ব), (-বে) ক্রিয়া-বিভক্তি যুক্ত হয়। যেমনঃ

কাল পরীক্ষা হইবে (হবে)। 

আমি তোমার গান শুনিব (শুনব)। 

বাবা বেড়াইতে যাইবেন (বেড়াতে যাবেন)।

common.content_added_by

ঘটমান ভবিষ্যৎ কাল

401
401

ঘটমান ভবিষ্যৎ :-

পরে যে ক্রিয়া ঘটতে থাকবে, তার কালকে বলা হয় ঘটমান-ভবিষ্যৎ।

এই কাল বুঝাতে মূল ধাতুর শেষে-ইতে (-তে) ক্রিয়া-বিভক্তি এবং তার পরে আছ (থাক্) ধাতুর সাথে -ইব (-ব), ইবে (-বে), ইবি (-বি) ইত্যাদি ক্রিয়া-বিভক্তি যুক্ত হয়। যেমনঃ

সে তখন হাঁটিতে থাকিবে (হাঁটতে থাকবে)। 

আমি যখন লিখিতে থাকিব (লিখতে থাকব)।

পাশের বাড়িতে তখন কাসরঘণ্টা বাজিতে থাকিবে (বাজতে থাকবে)।

common.content_added_by

পুরাঘটিত ভবিষ্যৎ কাল

469
469

পুরাঘটিত ভবিষ্যৎ :-

পূর্বে যে ক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়ে থাকবে, তার কাল হয় পুরাঘটিত ভবিষ্যৎ। যেমন :

আপনি সেদিন আমাকে ভুল বুঝিয়া থাকিবেন (বুঝে থাকবেন)। সেই হয়তো লিখিয়া থাকিবে (লিখে থাকবে) ইত্যাদি।

 

common.content_added_by

ক্রিয়ার ভাব

467
467

ক্রিয়ার ভাবের সংজ্ঞা : যা দ্বারা ক্রিয়াপদের বর্ণিত কার্য ঘটার ধরন, প্রকার বা রীতিবোধ প্রকাশ পায়, তাকে ক্রিয়ার প্রকার বা ভাব বা ধরন বলে।

অথবা, যা দ্বারা কোনো কাজ সংঘটিত হওয়ার ভাব অর্থাৎ রীতি প্রকাশ পায় তাকে ক্রিয়ার ভাব বা প্রকার বলে।

ক্রিয়ার ভাবের প্রকারভেদ : ক্রিয়ার প্রকার বা ভাব চার ভাগে বিভক্ত। যথা–

(১) নির্দেশক ভাব

(২) অনুজ্ঞা ভাব

(৩) শর্তবাচক ভাব

(৪) আকাঙ্ক্ষাবাচক ভাব

common.content_added_by

নির্দেশক ভাব

470
470

নির্দেশক বা অবধারক ভাব : সাধারণভাবে কোনো কিছু নির্দেশ করলে তখন তাকে ক্রিয়াপদের নির্দেশক ভাব বলে। যেমন– “অর্থ, হায়রে পাতকী অর্থ, তুই জগতের সকল অনর্থের মূল।”

যারা দিনে পাঁচবার প্রার্থনা করে তারা মুসলমান।

common.content_added_by

অনুজ্ঞা ভাব

416
416

অনুজ্ঞা বা নিয়োজক ভাব : যে বাক্যে আদেশ, নিষেধ, অনুরোধ, উপদেশ, আশীর্বাদ, প্রার্থনা, কামনা ইত্যাদি ভাব প্রকাশ করে তাকে ক্রিয়া পদের অনুজ্ঞা বা নিয়োজক ভাব বলে। যেমন– এখন পড়। সদা সত্য কথা বলবে। গোলমাল করো না। সুখে থাক।

common.content_added_by

সাপেক্ষ ভাব

389
389

শর্তবাচক বা সাপেক্ষ ভাব : কোনো বাক্যে একটি ক্রিয়া শর্তের ওপর নির্ভর করে সম্পাদিত হলে তাকে ক্রিয়াপদের শর্তবাচক ভাব বলে। যেমন– প্রভু, এমন শক্তি দাও যাতে জাতির কল্যাণ সাধন করতে পারি। পরিশ্রম করলে তোমরা অবশ্যই সাফল্য লাভ করবে।

common.content_added_by

আকাঙ্ক্ষা প্রকাশক ভাব

418
418
common.please_contribute_to_add_content_into আকাঙ্ক্ষা প্রকাশক ভাব.
common.content
টপ রেটেড অ্যাপ

স্যাট অ্যাকাডেমী অ্যাপ

আমাদের অল-ইন-ওয়ান মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে সীমাহীন শেখার সুযোগ উপভোগ করুন।

ভিডিও
লাইভ ক্লাস
এক্সাম
ডাউনলোড করুন
Promotion